Non-government Assistant Teacher Jobs Related Notice 2018

Non-government Assistant Teacher Jobs Related Notice 2018 has been published by their authority in New job vacancy Notice at Online Apply. We also job posted and found in my website in kormokhali.com. Assistant Teacher Job Circular Apply last date See inside details. All are interested and eligible applicants able to apply for Non-government Assistant Teacher Job Circular February 2018

Non-government Assistant Teacher Jobs Related Notice

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ দিনের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সংকট কেটে যাচ্ছে। অন্তত সোয়া লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ২০১২ সালে চালু নতুন শিক্ষাক্রম এবং দেশব্যাপী মানসম্মত পাঠদান বিঘ্নিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এ ছাড়াও নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হবে। ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’তে এসব প্রস্তাব চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক) জাবেদ আহমেদ আজকালের খবরকে বলেন, আইসিটিসহ অনেক বিষয় নতুন করে চালু করা হলেও পদ সৃষ্টি করা হয়নি। শিক্ষক সংকটের কারণে এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয় পড়াচ্ছেন। এতে শিক্ষার্থীরা গুণগত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব বিষয় বিবেচনা করে নতুন জনবল কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শিগগিরই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরিতে প্রবেশের নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। বয়সের বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নীতিমালাটি অনুমোদন না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে। এখানে রাষ্ট্রের অনেক স্বার্থ জড়িত আছে।
সোয়া লাখ নতুন পদ
বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো অনুযায়ী, নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বাংলা, ইংরেজি ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে একটি করে পদ রয়েছে। নতুন জনবল কাঠামোতে এই তিনটি পদ ছাড়াও কৃষি, গার্হস্থ্য, গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, ধর্ম, শারীরিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, চারু ও কারুকলার নতুন পদ সৃষ্টি হবে। কম্পিউটার ল্যাব থাকলে একজন ল্যাব অপারেটর নিয়োগ দেওয়া যাবে। এ ছাড়া অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নৈশ প্রহরী ও আয়াসহ (সহশিক্ষা ও বালিকা বিদ্যালয়) ১৯টি পদ প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে নয়টি পদ রয়েছে।
মাধ্যমিক স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ের তিনজন শিক্ষকের এমপিওভুক্ত পদ রয়েছে। নতুন করে সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা (বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকলে) বিষয়ে আলাদা দুটি পদসহ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, গণিত, ভৌত বিজ্ঞান, ধর্ম, শারীরিক শিক্ষা, কৃষি, গার্হস্থ্য, চারু ও কারুকলা, জীববিজ্ঞান (বিজ্ঞান বিভাগ চালু থাকলে) শিক্ষকের পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শারীরিক শিক্ষা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং চারু ও কারুকলা বিষয় চালু করে। এসব বিষয়ে নতুন পদ সৃষ্টি হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে বিজ্ঞানের একজন শিক্ষকের পদ এমপিওভুক্ত রয়েছে। তিনি একাই পদার্থ, রসায়ন, জীববিদ্যা ও উচ্চতর গণিত পড়াতেন। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ভৌতবিজ্ঞান এবং জীববিজ্ঞান বিষয়ে আলাদা শিক্ষক এমপিওভুক্ত হবেন। কৃষি এবং গার্হস্থ্য আলাদা বিশেষায়িত বিষয়। কিন্তু একজন শিক্ষককে বিষয় দুটি পড়াতে হয়। এ দুটি বিষয়ে আলাদা পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। শরীরচর্চা শিক্ষক যারা ছিলেন, তারা শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক হিসেবে গণ্য হবেন। এ ছাড়া সহকারী গ্রন্থাগার কাম ক্যাটালগার, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের নতুন পদ সৃষ্টি হবে। উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয় ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে একজন প্রদর্শককে এমপিওভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক কলেজেও একই জনবল কাঠামো থাকবে। আর ¯œাতক (পাস) স্তরে প্রতিটি বিষয়ে একজন করে ল্যাব সহকারী পদের এমপিওভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সবস্তরেই ল্যাব বাধ্যতামূলক। প্রথমবারের মতো উচ্চমাধ্যমিক কলেজে উপাধ্যক্ষ পদ সৃষ্টির প্রস্তাব করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নতুন নীতিমালা অনুমোদন দিলে সারা দেশে ২৬ হাজার ৯০টি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে আরও সোয়া লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর নতুন করে এমপিওভুক্ত হবেন।
অতিরিক্ত শ্রেণি শাখা, বিষয় ও বিভাগ খোলার শর্ত:  নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫০ জনের বেশি অতিরিক্ত শাখা খোলা যাবে। তবে নতুন শাখায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পরবর্তী প্রতিটি শাখা খুলতে ৫০ জন করে শিক্ষার্থী থাকতে হবে। নতুন শাখায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি/গার্হস্থ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিভাগ খুলতে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। মাধ্যমিকে শাখা খুলতে নিম্নমাধ্যমিক স্তরের মতোই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। উচ্চমাধ্যমিকে বিভাগ খুলতে ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। নতুন বিষয় খুলতে ২৫ জন শিক্ষার্থীসহ ওই বিভাগে ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। স্নাতক (পাস) পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে নতুন বিষয় খুলতে হলে ২৫ জন শিক্ষার্থী  ও বিভাগে ৭৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। শিফট খুলতে হলে শ্রেণি ভিত্তিক দেড় শত শিক্ষার্থী থাকতে হবে। নতুন শিফটে প্রতিটি শ্রেণিতে ৫০ জন শিক্ষার্থী হলে বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করা হবে। মাধ্যমিক স্কুলে বিভিন্ন ধর্মের ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকলে একজন ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে।
শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা
বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরিতে প্রবেশের কোনো নিয়ম নেই। নতুন নীতিমালায় ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগে কোনো বিধিনিষেধ নেই। নতুন নীতিমালায় সর্বশেষ ডিগ্রি ছাড়া শিক্ষা জীবনে একটি তৃতীয় শ্রেণিপ্রাপ্তরা আবেদন করতে পারবেন। বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগে ৩০০ নম্বরের স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগে স্পষ্ট করে বলা নেই। নতুন নীতিমালায় স্পষ্ট করা হয়েছে। স্নাতক (পাস) স্তরে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগের দীর্ঘদিনে দাবি এবারও উপেক্ষিত হয়েছে। মাধ্যমিক স্কুল-কলেজে উন্নীত হলে প্রধান শিক্ষক স্বপদে স্ববেতনে বহাল থাকবেন। কলেজ স্তর এমপিওভুক্ত না হলে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হলে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তবে এমপিও হলে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া যাবে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রথমবারের মতো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বার্ষিক মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মতো এসিআর চালু হবে।
গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে এমপিওভুক্তি
১০০ নম্বরের গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি করা হবে। একাডেমিক স্বীকৃতিতে ২৫ নম্বর (প্রতি দুই বছরের জন্য পাঁচ নম্বর। ১০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সি প্রতিষ্ঠানের জন্য ২৫ নম্বর)। শিক্ষার্থীর সংখ্যার ওপর ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার জন্য ১৫ নম্বর। এরপর ১০ শতাংশ বৃদ্ধিতে পাঁচ নম্বর)। পরীক্ষার্থীর সংখ্যার জন্য ২৫ নম্বর (কাম্য সংখ্যার ক্ষেত্রে ১৫ ও পরবর্তী প্রতি ১০ জনের জন্য পাঁচ নম্বর)। পাবলিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের জন্য ২৫ নম্বরের (কাম্য হার অর্জনে ১৫ নম্বর ও পরবর্তী প্রতি ১০ শতাংশ পাসে পাঁচ নম্বর) গ্রেডিং করা হবে। প্রভাষকদের এমপিওভুক্ততিতে বিষয়ভিত্তিক ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। তবে বিজ্ঞান বিভাগের ১৫ জন করা হয়েছে। নতুন জনবল কাঠামোতে সৃষ্টপদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা দেওয়া হবে না। তবে নতুন পদে এমপিওভুক্ত করা হবে। নতুন জনবল কাঠামোর বাইরে কর্মরত পদ শূন্য হলে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। যারা এমপিওভুক্ত নয়, কিন্তু বৈধভাবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের নতুন পদে পদায়ন করতে হবে।
ব্রাঞ্চ বন্ধ
নীতিমালা জারির পরে অনুমোদিত ক্যাম্পাস ছাড়া অন্য ক্যাম্পাস ও ব্রাঞ্চ চালানো যাবে না।  অনার্স-মাস্টার্স কলেজ, অনার্স ও কামিল মাদ্রাসা, সংগীত কলেজ, শরীরচর্চা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ ও নৈশকালীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই নীতিমালায় আনা হয়নি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিও বা সরকারি বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও এবং জনবল কাঠামো নীতিমালাটি তৈরি করা হয়। এরপর ২০১০ এবং ২০১৩ সালে নীতিমালাটি দুই দফায় সংশোধন করা হয়।
Assistant Teacher Job Circular for the new post. you have to visit there official website . You can Also download Non-Government Teacher Job Circular Application Form kormokhali.com.